মোঃ বদরুজ্জামান মিয়া(বীর প্রতীক)
১৯৪৪ সালের ১ নভেম্বর মিয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহল করেন। তাঁর পিতা নজিরম্নজ্জামান মিয়া(বিএবিটি) ফুলবাড়ী জছিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিÿক ছিলেন। বদরম্নজ্জামান মিয়া প্রথম জীবনে ফুলবাড়ী জছি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু দিন শিÿকতা করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ০৯ মার্চ বিশ্ব বিদ্যালয় এলাকায় পাকবাহিনী গোলাবর্ষন করলে তিনি পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে গ্রামে বাড়ীতে চলে আসেন। ১২ মার্চ তিনি বালারহাট বাজারে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-জনতাকে নিয়ে একটি সভা করেন। সভায় উপস্থিত সকলের কাছে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এরপর তাঁর নেতৃত্বে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। এ সময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে একটি ইউনিট গঠন করেন। একই সময়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে একটি ইয়ুথ ক্যাম্প গঠিত হয়। এই ইয়ুথ ক্যাম্প ও যুদ্ধ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বদরম্নজ্জামান মিয়া। তিনি ৬নং সেক্টরের অধীনে একজন কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন। ফুলবাড়ী থানাকে সত্রম্নমুক্ত রাখার ÿÿত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকাপালন করেন। এছাড়া তিনি নাগেশ্বরী ও ভূরম্নঙ্গামারী এলাকায় অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ফুলবাড়ী থানার কুলাঘাট নামক স্থানে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংঘঠিত সম্মুখ যুদ্ধে বদরম্নজ্জামান কোম্পানীর বলিষ্ঠ পদÿÿপের কারণে পাকবাহিনী চরমভাবে পরাজিত হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের ২৬-৩০ জন সদস্য নিহত হয়। বদরম্নজ্জামান মিয়া এই যুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান করেন। পাকসেনারা যাতে ফুলবাড়ী থানায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বদরম্নজ্জামানের নেতৃত্বে সেকশন কমান্ডার শাহজাহান আলী গংগারহাট ব্রিজ ও গাগলা ব্রিজ র্ধ্বংস করেন। এ ছাড়া আন্ধারীর ঝাড় ও বাগভান্ডারে সংঘঠিত সম্মুখ যুদ্ধে বদরম্নজ্জামান কোম্পানীর গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।
যুদ্ধের পর তিনি লেড়া শেষ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলের অধীনে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীরত অবস্থায় তিনি পেশাগত কাজে দÿতা বাড়ানোর জন্য উচ্চতর প্রশিÿণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাশিয়ায় যান। ১৯৭৫ সালে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনে যোগদান করেন। ২০০২ সারের ১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ ÿুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন(বিসিক) এর সচিবের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শিরোনামে তাঁর রচিত একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস